লাগাম ধরতে না পারলে আমাদের সন্তানরা আঁতুড় ঘরেই মুখ থুবড়ে থাকবে

ছবি সংগৃহীত

 

সেলিনা বাদল :  মানুষ যদি নিজে নিজেকে খুঁজে না পায়, নিজেকে আবিষ্কার করতে না পারে যে এই পৃথীবিতে আমাদের আগমন কেন, না জানলে সত্যি বলতে কী একটা জাতি বা গোষ্ঠীর মধ্যে কখনো প্রতিভার বিকাশ ঘটতেই পারবে না। আমাদের প্রতিটি মানুষের মধ্যে এমন কিছু গুণ রয়েছে, সেই গুণগুলো যদি নিজেরাই খুঁজে বের করতে পারি তবে একটা জাতির প্রবর্তন হতে সময় লাগে না।

 

২১ ফেব্রুয়ারি আমি আমার বাড়িতে গিয়েছিলাম। চারদিকে ঘুরে দেখলাম কত ঘন জনবসতি পুকুরগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে!! কষ্টই লাগল দেখে কোনো সম্ভাবনা নেই। সম্মান এবং সুস্থভাবে বেঁচে থাকার কেন জানি চেষ্টাই নাই কারোর মধ্যে!! সবাই কষ্ট ছাড়া অর্জনে বিশ্বাসী হয়ে যাচ্ছে। সমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর দায় কার বুঝতে পারছি না।

 

আগে বাদল সাহেব বেঁচে থাকতে এলাকায় ছেলেরা খেলাধুলা নিয়ে মত্ত ছিল। অথচ এখন রাস্তায় বসে, ঘরে বসে সর্বক্ষেত্রে জুয়ার আড্ডা, সহজে রোজগার করা শিখে যাচ্ছে। কোনো ভালো কাজ শিক্ষণীয় কাজের প্রতি কারোর ভ্রুক্ষেপও নেই। একটা স্মার্টফোন হলেই হবে আর যেন কিছু চাই না। জীবনের সব পাওনা একটি স্মার্টফোনের মধ্যেই আটকে গিয়েছে!!

 

আমাদের সন্তানেরা কী দিয়ে বা কী বুঝে সমাজের আদর্শ মানুষ হবে সেটা আসলে বলতে পারছি না। ডিজিটাল বাংলাদেশ এত অব্যবস্থার মধ্য দিয়ে সামনের দিকে এগোচ্ছে, যা কিনা ভয়ংকর!! আগামী প্রজন্মের সম্ভাবনার দিক একেবারেই নষ্ট হতে চলেছে!! শুধু টাকার জন্য, ছেলেমেয়ে স্মার্টফোন দিয়ে জুয়া খেলছে সহজ পদ্ধতিতে টাকা উপার্জনের জন্য। শরীর ও মেধার বিকাশ একেবারেই শূন্যের কোঠায় গিয়ে দাঁড়াতে খুব বেশি দিন লাগবে না।

 

বাড়ির পুকুর শুকিয়ে যাবে। গাছপালার পরিচ্ছন্নতা থাকবে না। ড্রেনগুলো বালি, গাছের পাতা, রাস্তার ময়লা জমে জমে ভরাট হয়ে যাবে!! ডোবাগুলো নোংরা আবর্জনায় ভরাট হয়ে যাবে। দূষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার কারিগর যারা হবে সবাই আফিমের খোঁজ পেয়েছে। তাই অলস হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। মাওসেতুংয়ের মতো নেতৃত্ব লাগবে যেন আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এই জুয়ার ঘোর হতে বের করে আনতে পারে। কীসের ক্রিকেট কিসের ফুটবল সব জায়গায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে জুয়া আর জুয়া। সেই জুয়ার টাকা দিয়ে খেলোয়াড়রা বিশাল অংকের টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছে!! লাগাম ধরতে না পারলে আমাদের সন্তানেরা আঁতুড় ঘরেই মুখ থুবড়ে বিকলাঙ্গ হয়ে পৃথিবীতে থাকবে। আমাদের পরিবার, সকলের পরিবার তথা সমস্ত দেশকে রক্ষা করতে হলে আর সময় নেওয়া যাবে না। এর একটা বিকল্প পথ খুঁজতে হবে। আল্লাহই একমাত্র সহায়।

লেখক : সমাজ সেবিকা । সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি

» মিনা ফারাহকে ফোন করলেন জামায়াত আমির

» ছাত্র-জনতা হত্যা মামলায় শ্রমিকলীগ নেতা আকবর হোসেন মৃধা গ্রেফতার

» সরকারি চাকরিতে বড় নিয়োগের ঘোষণা আসছে

» পর্তুগাল সফরে গে‌লেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

» তাজরীন ট্র্যাজেডির ১২ বছর, ক্ষতিপূরণ-পুনর্বাসনের প্রহর গুনছেন ভুক্তভোগীরা

» শহীদ রনির মেয়ের ছবি ফেসবুকে দিয়ে যা বললেন মীর স্নিগ্ধ

» বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড: সাবেক মেয়র তাপসসহ ৩০ জনের নামে মামলা

» আজ রবিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট-দোকানপাট বন্ধ থাকবে

» ৫৩ বছর পর দেশ গড়ার এক সুবর্ণ সুযোগ আমাদের এসেছে: মাসুদ সাঈদী

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

লাগাম ধরতে না পারলে আমাদের সন্তানরা আঁতুড় ঘরেই মুখ থুবড়ে থাকবে

ছবি সংগৃহীত

 

সেলিনা বাদল :  মানুষ যদি নিজে নিজেকে খুঁজে না পায়, নিজেকে আবিষ্কার করতে না পারে যে এই পৃথীবিতে আমাদের আগমন কেন, না জানলে সত্যি বলতে কী একটা জাতি বা গোষ্ঠীর মধ্যে কখনো প্রতিভার বিকাশ ঘটতেই পারবে না। আমাদের প্রতিটি মানুষের মধ্যে এমন কিছু গুণ রয়েছে, সেই গুণগুলো যদি নিজেরাই খুঁজে বের করতে পারি তবে একটা জাতির প্রবর্তন হতে সময় লাগে না।

 

২১ ফেব্রুয়ারি আমি আমার বাড়িতে গিয়েছিলাম। চারদিকে ঘুরে দেখলাম কত ঘন জনবসতি পুকুরগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে!! কষ্টই লাগল দেখে কোনো সম্ভাবনা নেই। সম্মান এবং সুস্থভাবে বেঁচে থাকার কেন জানি চেষ্টাই নাই কারোর মধ্যে!! সবাই কষ্ট ছাড়া অর্জনে বিশ্বাসী হয়ে যাচ্ছে। সমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর দায় কার বুঝতে পারছি না।

 

আগে বাদল সাহেব বেঁচে থাকতে এলাকায় ছেলেরা খেলাধুলা নিয়ে মত্ত ছিল। অথচ এখন রাস্তায় বসে, ঘরে বসে সর্বক্ষেত্রে জুয়ার আড্ডা, সহজে রোজগার করা শিখে যাচ্ছে। কোনো ভালো কাজ শিক্ষণীয় কাজের প্রতি কারোর ভ্রুক্ষেপও নেই। একটা স্মার্টফোন হলেই হবে আর যেন কিছু চাই না। জীবনের সব পাওনা একটি স্মার্টফোনের মধ্যেই আটকে গিয়েছে!!

 

আমাদের সন্তানেরা কী দিয়ে বা কী বুঝে সমাজের আদর্শ মানুষ হবে সেটা আসলে বলতে পারছি না। ডিজিটাল বাংলাদেশ এত অব্যবস্থার মধ্য দিয়ে সামনের দিকে এগোচ্ছে, যা কিনা ভয়ংকর!! আগামী প্রজন্মের সম্ভাবনার দিক একেবারেই নষ্ট হতে চলেছে!! শুধু টাকার জন্য, ছেলেমেয়ে স্মার্টফোন দিয়ে জুয়া খেলছে সহজ পদ্ধতিতে টাকা উপার্জনের জন্য। শরীর ও মেধার বিকাশ একেবারেই শূন্যের কোঠায় গিয়ে দাঁড়াতে খুব বেশি দিন লাগবে না।

 

বাড়ির পুকুর শুকিয়ে যাবে। গাছপালার পরিচ্ছন্নতা থাকবে না। ড্রেনগুলো বালি, গাছের পাতা, রাস্তার ময়লা জমে জমে ভরাট হয়ে যাবে!! ডোবাগুলো নোংরা আবর্জনায় ভরাট হয়ে যাবে। দূষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার কারিগর যারা হবে সবাই আফিমের খোঁজ পেয়েছে। তাই অলস হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। মাওসেতুংয়ের মতো নেতৃত্ব লাগবে যেন আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এই জুয়ার ঘোর হতে বের করে আনতে পারে। কীসের ক্রিকেট কিসের ফুটবল সব জায়গায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে জুয়া আর জুয়া। সেই জুয়ার টাকা দিয়ে খেলোয়াড়রা বিশাল অংকের টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছে!! লাগাম ধরতে না পারলে আমাদের সন্তানেরা আঁতুড় ঘরেই মুখ থুবড়ে বিকলাঙ্গ হয়ে পৃথিবীতে থাকবে। আমাদের পরিবার, সকলের পরিবার তথা সমস্ত দেশকে রক্ষা করতে হলে আর সময় নেওয়া যাবে না। এর একটা বিকল্প পথ খুঁজতে হবে। আল্লাহই একমাত্র সহায়।

লেখক : সমাজ সেবিকা । সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com